মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলের আরিয়ান খান। এরপর থেকে মান্নাত প্রাসাদে সুনশান নিরবতা। সব আনন্দ মাটি। এর মধ্যেই অস্বস্তি বাড়ল খান পরিবারে। মাদককাণ্ডের মামলায় এবার জেরার মুখোমুখি শাহরুখ খানের গাড়িচালক। ইতোমধ্যে তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
এনসিবির বরাতে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত শনিবার মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীতে এই গাড়িচালকই আরিয়ানকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। সে কারণেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করেছে এনসিবির কর্মকর্তারা। নিজের সেই গাড়িচালককে আরিয়ানের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন শাহরুখ। এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই মুহূর্তে প্রমোদতরীতে পাওয়া মাদকের জোগানের সূত্র খুঁজছেন এনসিবি। কোথা থেকে, কীভাবে মাদক নেওয়া হয়েছিল— তদন্তে তার জবাব খুঁজতে কোনো তথ্য মিস করতে চান না তারা। যে কারণে শাহরুখের গাড়িচালককেও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিকে শুক্রবার জামিন না পাওয়ায় আরিয়ানকে সোমবার পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। কারণ সোমবারের আগে এনডিপিএস আদালতে জামিনের আবেদন করা সম্ভব নয়। আজ রোববার বন্ধ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।
এই মামলায় আরও পাঁচ জন আর্থার রোডের জেলেই রয়েছেন। অন্য দুই নারী আসামিকে বাইকুল্লা মহিলা জেলে রাখা হয়েছে। মুম্বাইয়ের এই হাইপ্রোফাইল জেলের ফার্স্ট ফ্লোরে স্পেশাল কোয়ারেন্টিন ব্যারাকে কছেন আরিয়ান। স্টার কিড হিসেবে কারাগারে কোনো ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন না আরিয়ান। উল্টো কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে অন্যান্য বন্দিদের মতো তার কক্ষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।
কলকাতার গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, তারকা সন্তান বলে কোনো রকম ‘বিশেষ সুবিধা’ পাচ্ছেন না আরিয়ান। আর সব সাধারণ বন্দির মতোই থাকতে হবে ‘কিং খান’পুত্রকে। করোনাবিধি মেনে আর্থার রোড জেলে তিন থেকে পাঁচ দিন নিভৃতবাসে কাটাবেন আরিয়ান। কারাগারে সবার জন্য যা রান্না হয়, তা-ই খাবেন। বাইরের খাবার সেখানে নিষিদ্ধ। আরিয়ানের জন্যেও খাবার নিয়ে যেতে পারবেন না তার পরিবার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।